বেশীরভাগ ছাত্র-ছাত্রী ইংরেজি বিষয়ে ডি গ্রেড, গনিত বিষয়ে ডি, বিজ্ঞান শাখায় বা বানিজ্যিক বা মানবিক শাখায়(গ্রুপিং) বিষয় ডি গ্রেড, বেশির ভাগ ছাত্র-ছাত্রী জিপিএ ২.০০ এবং জিপিএ ৩.০০ এভারেজ পেয়ে পাশা করেছে তাহা রেজাল্ট জাতির জন্য অশনি সংকেত বটে।
যে সমস্ত শিক্ষার্থী গুনগত মান রক্ষা না করে রেজাল্ট করেছে ভবিষ্যতে যে কোন ধরনের বিশ্ববিদ্যালয় সহ প্রতিযোগিতা পরীক্ষায় তার কোন ভাল অবস্থান নাই বলেই চলে।
শিক্ষার্থীরা আমার লেখাটি আপনার জন্য সাময়িক ভাবে কষ্ট হতে পারে কিন্ত ভবিষ্যতে উচ্চ শিক্ষা নেওয়ার সময় বুঝবেন বা প্রতিযোগিতায় মূলক পরীক্ষায় অংশ গ্রহন করলে বুঝবেন বা চাকুরী করতে গেলে বুঝবেন বা বন্ধুদের সাথে পাংগা দিতে গিয়েও বুঝবেন, আপনি কোথায় আছেন।
শতভাগ পাশের অর্থ কোন কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের জন্য ভাল, সেই সমস্ত প্রতিষ্ঠানে ভাল যে সমস্ত এলাকার লোকেরা গুনগত মান কি বা বিশ্ববিদ্যালয় বা বিদেশ পড়াশোনা করতে কি ধরনের পয়েন্ট লাগে বা ভাল সাবজেক্ট নিয়ে পড়াশোনা করতে বা বিষয় ভিত্তিক কত নাম্বার ফেলে সেই সাবজেক্টে পড়াশোনা করতে পারে তাদের জন্য কিন্ত সমগ্র জাতির জন্য কি ধরনের খারাপ প্রভাব বা ক্ষতি হইবে তারা বুঝে নাই, ভবিষ্যৎও বুঝবে কিনা জানা নাই।
আমার লেখাটি যদি কেউ না বুঝেন আপানার এলাকায় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যায়রত ভাই বোনকে প্রশ্ন করেন বা সাবেক ভাই বোনদেকে জিজ্ঞেস করেন বা ভাল মানের সম্মানীত শিক্ষকগনকে জিজ্ঞেস করেন।
শিক্ষা প্রতিষ্ঠান অবশ্যই জাতি গড়ার প্রত্যয়ে কাজ করে কিন্তু এর চালিকাশক্তি থাকে ভালমানের পরিচালনা পরিষদের কাছে, সচেতন অভিভাবকদের হাতে এবং এলাকার ও পরিবেশের উপর নির্ভর করে।
সুতারাং আমি বলতে চাই যে সমস্ত প্রতিষ্ঠান গুনগত মান ঠিক না রেখে রেজাল্ট করেছে সে সমস্ত প্রতিষ্ঠান গুনগত মান রক্ষার জন্য চেষ্টা করবে তাহাতে আবেগ দেখানোর কোন সুযোগ নাই, কারন এসএসসি এর রেজাল্টকে পড়াশোনার প্রাথমিক ভিত্তি বলা হয়।
যেখানে আপনার ভিত্তিই ধূর্বলভাবে তৈরী হচ্ছে সেটিও ভাবার বিষয়।
সমান্য পয়েন্টের জন্য অনেক মেধাবী শিক্ষার্থীই বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স পাইনা সেখানে আপনার রেজাল্ট ২ পয়েন্ট বা ৩ বা ৪ এর কিছু বেশী এর সাথে ভাল বিষয় পাওয়ার জন্য সেই বিষয়েও ভাল মার্ক নাই, এই কি ভাবা যায়?
বি:দ্র: এই লিখাটি সমগ্র বাংলাদেশের জন্য।
লেখক:
মো: মিল্লাত মিয়া
এডভোকেট, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট।