সাতক্ষীরা প্রতিনিধি :
সাতক্ষীরা জেলাধীন কালিগঞ্জ উপজেলার আাদর্শ মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ে এনটিআরসিএ`র সুপারিশপ্রাপ্ত সহকারী শিক্ষক আঃ রাজ্জাকের বিরুদ্ধে বিভিন্ন ব্যাক্তি, স্ত্রী,স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকামন্ডলী ও শিক্ষার্থী কতৃক গুরুতর অভিযোগ আনা হয়েছে। উপজেলার মুড়াগাছা গ্রামের জিন্নাত আলী গাইনের পুত্র মোঃ আব্দুর রাজ্জাক চতুর্থ গনবিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এনটিআরসিএ কতৃক সুপারিশপ্রাপ্ত হয়ে ১৫/১০/২০২৩ তারিখ বিদ্যালয়টিতে যোগদান করে।যোগদানের খবর পেয়ে উপজেলার গোবিন্দকাটি গ্রামের গৌর বিশ্বাস তার পুত্রের চাকরি দেয়ার নামে প্রতারণামূলকভাবে গ্রহন করা দুই লক্ষ টাকা ফেরত পাওয়ার জন্য প্রধান শিক্ষকের নিকট দরখাস্ত করেন।
কিছুদিন পর আাশাশুনি উপজেলার শ্রীউলা গ্রামের মিজানুর রহমান তার ছেলেকে বিদেশ নিয়ে যাওয়ার নাম করে দুই লক্ষ টাকা গ্রহণ করে।একাধিক দিন তারিখ নির্ধারন করার পরও তার ছেলেকে বিদেশ নিয়ে যায়নি। অবশেষে শিক্ষক আঃ রাজ্জাক তার মা মারা গেছে জানিয়ে বিদেশ নিয়ে যাওয়া ক্যান্সিল করে।পরে মিজানুর রহমান খোজ নিয়ে জানতে পারে আঃ রাজ্জাকের মা মারা যায়নি।টাকা আত্মসাৎ করার ফন্দি মাত্র।
যোগদানের পর হতে স্কুলে শিক্ষক-শিক্ষিকা ও কর্মচারীদের সাথে ঔদ্ধাত্যপূর্ন ও মারমুখী আচারন করে।নিজেকে একজন প্রভাবশালী ও ক্ষমতাবান ব্যাক্তি হিসাবে জাহির করে এবং কথায় কথায় সিনয়র শিক্ষকদের উপর চড়াও হয়।সরকারী নির্দেশ অমান্য করে ছাত্রীদেরকে গাইডবই ও কোচিং বানিজ্যে বাধ্য করানোর অপচেষ্টা, ক্লাসে অশালীন ও কটু ভাষা ব্যাবহার,আজে-বাজে গল্প করার লিখিত ও মৌখিক অভিযোগ করেছেন অভিভাবক ও শিক্ষার্থীরা।তার বিরুদ্ধে ইচ্ছেমতো স্কুলে আাসা,কতৃপক্ষের অনুমতি না নিয়ে স্কুলে অনুপস্থিত থাকা এমনকি জতীয় দিবসের স্কুলের প্রোগ্রামেও অংশগ্রহণ না করার অভিযোগ উঠেছে।
যৌতুকের দাবিতে সে তার স্ত্রীকে দীর্ঘদিন যাবৎ শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করে আসছে মর্মে তার স্ত্রীর নিকট থেকে জানা যায়।ইতিমধ্যে সাংসারিক জিনিসপত্রসহ আড়াই লক্ষ টাকা যৌতুক গ্রহন করছে।সম্প্রতি স্ত্রীর নিকট নুতন করে যৌতুকের টাকা দাবি করে।টাকা না দিতে পারার কারনে মারাত্মকভাবে মারপিট করে বাচ্চাসহ বাবার বাড়িতে তুলে দিয়েছে। এসকল বিষয়ে প্রধান শিক্ষক মোঃ শফিকুল ইসলামের নিকট জানতে চাইলে তিনি ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন,অভিযোগের বিষয়ে বিধিমোতাবেক তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।তদন্ত কার্যক্রম চলমান আছে।শিক্ষক আঃ রাজ্জাকের কারনে বিদ্যালয়ের পরিবেশ ও ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হচ্ছে।
একজন বালিকা বিদ্যালয়ের শিক্ষক যদি নারী নির্যাতনকারী,প্রতারক,ছাত্রীদের সাথে অশালীন আচারনকারী এবং সরকারী ও চাকুরীবিধি অমান্যকারী হয় তাহলে দেশ ও জাতির ভবিষ্যৎ কোথায়?