মৌসুমী খন্দকার, মানিকগঞ্জ :
মানিকগঞ্জের দৌলতপুর সদরে ঐতিহ্যবাহী পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণীর এক পরীক্ষার্থী পরীক্ষার ফি ও বেতন দিতে না পারায় পরীক্ষার রুম থেকে বেড় করে দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে প্রধান শিক্ষক রেজাউল করিমের বিরুদ্ধে। পরে ইউএনওর সহযোগিতায় ২ ঘন্টা ২০ মি.পর পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করে শিক্ষার্থী।
জানাগেছে - নবম শ্রেণীর শিক্ষার্থী সোহানা আক্তার, ক্লাস মূল্যায়ন পরীক্ষা দিতে আসলে স্কুলের প্রধান শিক্ষক তাকে স্কুলের বেতন ও পরীক্ষার ফিস পরিশোধ করে পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করতে বলে । মেয়েটা ঐমুহুর্তে টাকা দিতে না পারার অপারগতা প্রকাশ করে প্রক্ষান্তরে প্রধান শিক্ষক তাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে এবং স্কুল থেকে বের হয়ে যেতে বলে। মেয়েটি কাঁদতে কাঁদতে বাড়ি ফিরে এসে বাড়ির সবাইকে বিষয়টি অবহিত করলে তার চাচা চাঁন মিয়া তাকে নিয়ে উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তার কাছে যান এবং বিষয়টি বিস্তারিত খুলে বলেন। নির্বাহী কর্মকর্তা নাহিয়ান নুরেন বিষয়টি অবগত হয়ে তাৎক্ষণিক ভাবে হেড মাস্টারের সাথে কথা বলে মেয়েটিকে পরীক্ষা দেওয়ার ব্যাবস্থা করে দেন। যদিও তখন ২ ঘন্টা ২০ মিনিট পরীক্ষার সময় অতিবাহিত হয়ে গিয়েছিল।
এবিষয়ে মেয়ের চাচা চাঁন মিয়া বলেন আমার ভাই দিন মজুর এবং হত দরিদ্র,সময় মতো তার ঘরে চাল, ডালই থাকেনা আমি মাঝে মধ্যে সহ যোগিতা করি ।এর উপর আমার ভাই ও ভাবী দুই জনই অসুস্থ অপেরেশনের রোগী। কোন মত সংসার চলে তাদের ।
আমার ভাজতী দৌলতপুর পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে নবম শ্রেণীতে পড়ে, সে স্কুল মূল্যায়ন পরীক্ষা দিতে গেলে স্কুলে ২৬ শ টাকা বকেয়া থাকায় হেড মাস্টার রেজাউল করিম তাঁকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে পরীক্ষার হল থেকে বেড় করে দেয় । পরে আমার ভাজতীকে নিয়ে ইউএনও স্যারের কাছে গেলে স্যার তাকে পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ করে দেন ।
এ বিষয়ে দৌলতপুর পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রেজাউল করিমের সাথে কথা বললে সাংবাদিকদের কাছে কৌশলে মূল বিষয়টি এড়িয়ে যান, এবং বলেন মেয়েটি পূর্বের পরীক্ষা না দেওয়ায় তাকে রুম থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে।
এবিষয়ে উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা নাহিয়ান নুরেন বলেন পরীক্ষার্থী সোহানা আমার কাছে এসেছিল হেড মাস্টার তাকে বের করে দিয়েছে বিষয়টি আমি অবগত হয়েছি, বিষয়টি আমি পরে দেখবো, হেড মাস্টারকে বলে মেয়েটির পরীক্ষা দেওয়ার ব্যবস্থা করে দিয়েছি। আমি জানতে পেরেছি মেয়েটির বাবা খুবই অসহায় দরিদ্র কাজেই আমি আসস্ত করেছি, যতটুকু সম্ভব মেয়েটিকে আমি সহযোগিতা করব।