আমিনুল ইসলাম আহাদ :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী প্রীতি খন্দকার হালিমাকে নারায়ণগঞ্জের কাঁচপুর এলাকা থেকে পুলিশ তাকে উদ্ধার করেছে। বৃহস্পতিবার (৩০ মে) সকালে উদ্ধার হওয়ার পর নিখোঁজ প্রার্থী প্রীতি খন্দকার বলেন, “আগামী ৫ জুন বিজয়নগর উপজেলা নির্বাচনে ভোটগ্রহণ করা হবে। এই নির্বাচনে আমি নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে (পদ্মফুল প্রতীক) নির্বাচন করছি। সার্ভারে ত্রুটির কারণে আমার মনোনয়নপত্র জমা দিতে সমস্যা হওয়ায়; পরবর্তীতে হাইকোর্ট থেকে প্রার্থীতা ফিরে পাই।”
তিনি আরও বলেন, ‘‘মঙ্গলবার (২৮ মে) দুপুরে উপজেলার হরষপুর ইউনিয়নে দুইজন সহযোগীকে নিয়ে নির্বাচনি প্রচারণায় যাই। হরষপুরের খেয়াঘাট ও ঋষি পাড়ায় ঢুকে প্রচারণা করার সময় আমার সঙ্গে থাকা দু’জন নারী বাইরে এবং আমি ভিতরে গিয়ে ভোটারদের সঙ্গে কথা বলছিলাম। এমন সময় অন্য দুই জন বোরকা পরা নারী এসে বলেন, সামনে একটি মাদ্রাসা আছে সেখানে অনেক ভোটার আছে। এই কথা বলে আমাকে একটি পান খেতে দেয়। পানটি মুখে নিতেই আমার মাথা ঘুরতে শুরু করে। তখন তারা একটি কালো মাইক্রোবাসে করে আমাকে নিয়ে যায়। আজ সকালে ৮টার দিকে নারায়ণগঞ্জের দেওয়ানবাগের একটি হাইওয়ে সড়কে আমাকে ফেলে যায়।
এত সকালে ফাঁকা সড়কে কাউকেই খুঁজে পাচ্ছিলাম না। তখন সড়ক দিয়ে অনেকক্ষণ হেঁটে আসার পরে একটি অটোরিকশা দেখতে পেয়ে আশপাশে কোনো থানায় নিয়ে যেতে বলি। পরে কাঁচপুর হাইওয়ে থানায় আসার পরে একজন পুলিশের কাছ থেকে মোবাইল নিয়ে আমার স্বামীকে ফোন দেই। পরে পুলিশের সহায়তায় বিজয়নগর থানা পুলিশ ও আমার স্বামী এসে আমাকে উদ্ধার করে।
প্রার্থী জানান, তার কাছে থাকা একটি মোবাইল, সঙ্গে থাকা টাকা ও স্বর্ণালঙ্কার সব নিয়ে গেছে ওই দুই নারী।
প্রার্থীর স্বামী মাসুদ খন্দকার বলেন, সকালে আমার স্ত্রী আমাকে কল দিয়েছে। পরে থানা থেকেও আমাকে জানিয়েছে। থানা থেকে আমি কাঁচপুরে এসেছি স্ত্রীকে নিয়ে যেতে। স্ত্রী জানিয়েছে নির্বাচন যেন না করে এজন্য তাকে তুলে নিয়ে গেছে। এখন সে অসুস্থ বেশি কথা বলতে পারছে না পরে বিস্তারিত জানা যাবে।
কাঁচপুর হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বলেন ওই নারী প্রার্থী সকালে থানায় এসে আশ্রয় চেয়েছেন। পরে বিজয়নগর থানায় যোগাযোগ করে তাকে পাঠানো হয়েছে।