বান্দরবান প্রতিনিধি :
৬ই আগষ্ট রোববার বাদরবান ৬ দিনের অবিরাম টানা বৃষ্টিতে জনজীবন বিপর্যয় হয়ে পড়েছে । বৃষ্টির কারনে জেলার নিম্মাঞ্চল ডুবে যাচ্ছে । ৬ দিনের ভারী বৃষ্টিতে জেলার সাংগু ও মাতামুহুরী নদীর পানি বৃদ্ধিতে , ফলে নদীর তীরবর্তী বিভিন্ন নিম্মাঞ্চল ডুবে যাচ্ছে ।ভারী বর্ষণ বান্দরবান লামা, আলীকদম ও নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার বিভিন্ন গ্রাম পানিতে তলিয়ে গেছে, প্রবল বৃষ্টিতে কোথাও কোথাও সড়ক ভেঙ্গে যাওয়ায় যােগাযােগ বন্ধ হয়ে পড়েছে। বান্দরবানে একদিক রাস্তা ঘাটের অবস্থা নিচুস্তর তাই ভারী বৃষ্টিতে জনজীবন নেমে এসেছে চরম দুর্ভােগ।অন্যদিক গেল ৩ দিন ধরে বান্দরবানে প্রবল বৃষ্টি আর বর্ষণ আমাদের জীবন অনেক কষ্ট নেমে এসেছে এদিকে টানা বৃষ্টির কারনে বান্দরবানের পাহাড়ের পাদদশ ঝুঁকিপূর্ন বসবাসকারীদর সরে যেতে মাইকিং করচ্ছেন প্রশাসন, খােলা হয়েছে আশ্রয় কেদ্র। পাহাড়ের পাদদশ ঝুঁকিপূর্নভাবে বসবাসকারীদের নিরাপদ স্থান থেকে সরেযেতে আহবান জানানো হচ্ছে বান্দরবানের পৌরসভার । প্রশাসনর তথ্যমতে বাদরবান জেলার সাত উপজলার বিভিন স্থানে ঝুঁকিপূর্ণভাব বসবাস করছ প্রায় ২ হাজার পরিবার। এদিকে বান্দরবান সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) নারগিস আক্তার জানান, বান্দরবানে গত কয়েকদিনের অবিরাম বর্ষণের ফলে বিভিন্নস্থানে ছোট ছোট পাহাড় ধসের ঘটনা ঘটেছে। বৃষ্টির পরিমাণ বেড়ে যাওয়ায় আমরা প্রশাসনের পক্ষ থেকে পাহাড়ের পাদদেশে ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাসকারীদের নিরাপদ আশ্রয়ে সরে যেতে মাইকিং অব্যাহত রেখেছি। এদিকে বান্দরবান সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) নারগিস আক্তার জানান, বান্দরবানে গত কয়েকদিনের অবিরাম বর্ষণের ফলে বিভিন্নস্থানে ছোট ছোট পাহাড় ধসের ঘটনা ঘটেছে। বৃষ্টির পরিমাণ বেড়ে যাওয়ায় আমরা প্রশাসনের পক্ষ থেকে পাহাড়ের পাদদেশে ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাসকারীদের নিরাপদ আশ্রয়ে সরে যেতে মাইকিং অব্যাহত রেখেছি। তিনি আরও জানান, বন্যা দুর্গতদের জন্য পুরো জেলায় ২০৭ টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত করা হয়েছে এবং জেলা সদরে ৪৬টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রয়েছে। তবে এখনো কেউ আশ্রয়কেন্দ্রে আসেনি। কয়েকদিনের টানা বৃষ্টির কারণে পৌরসভায় বসবাসরত পাহাড়ের পাদদেশে ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাসকারীদের নিরাপদ আশ্রয়ে সরে যেতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে মাইকিং অব্যাহত রয়েছে। পাশাপাশি ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের সদস্যরা বিভিন্ন পাহাড়ে পরিদর্শন করে ঝুঁকিপূর্ণ বসবাসকারীদের নিরাপদ আশ্রয়ে সরে যেতে নির্দেশনা দিচ্ছে। বান্দরবান ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের সিনিয়র স্টেশন অফিসার মো. নাজমুল আলম বলেন, পাহাড়ের পাদদেশ থেকে ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাসকারীদের সরে যেতে আমরা কাজ করছি এবং আমাদের নির্দেশনা শুনে অনেকে পাহাড় ছেড়ে সমতলে অবস্থান করলেও কেউ কেউ এখনো পাহাড়ের পাদদেশে বসবাস করছে যা এই সময়টার জন্য বেশি ঝুঁকিপূর্ণ।