হেলেনা আক্তার, স্টাফ রিপোর্টার:

গাজীপুর মহানগর বাসন থানাধীন ভোগড়া বাইপাস মহাসড়কে মোটরসাইকেলে আগুন দিয়ে রাস্তা বিক্ষোভ করেন এলাকাবাসী, পুলিশের সাথে জনতার ইট পাটকেল দাওয়া পাল্টা, নিয়ন্ত্রণ আনতে পুলিশ রাবার বুলেট ছুরেন, এসময় পুলিশ ও বিক্ষুব্ধ জনতার কয়েকজন আহত হন। গাজীপুরের ভোগড়া বাইপাস পেয়ারা বাগান ফায়ার সার্ভিস রোড এলাকার সুতার দোকানদার মোঃ রবিউল ইসলাম (৪০)সহ চার জনকে গত শত ১৪ জানুয়ারী ২২ ইং রাতে মোবাইলে বিট কয়েন গেম খেলার অপরাধে আটক করেন বাসন থানা এএসআই মাহবুব, জানা যায় চার জনের মধ্যে ৩ জনকে ছেরে দিলেও রবিউল ইসলাম কে ছারেনি, গত চারদিন ধরে রবিউল কে নিয়ে বাসন থানায় চলে নানান নাটকীয়তা, রবিউল কে ছারার জন্য প্রথমে ৫০ হাজার , দ্বিতীয় ধাপে ৩ লাখ ও চতুর্থ ধাপে ৫ লাখ টাকা দাবি করেন, রবিউলের ভাতিজা রাসেল বলেন আমার চাচা রবিউল (৪০)পিতা বাকি মন্ডল, তিনি স্ত্রী নুপুর, দুই মেয়ে, নুসরাত জাহান ছোট মেয়ে আখিসহ এই এলাকায় মোবারকের জমি ভাড়া নিয়ে টিনসেড বাড়ি বানিয়ে রুম ভাড়া দিয়ে সুতার দোকান করেন, তিনি বলেন আমার চাচা একজন সৎ ভদ্র ও ভালো মানুষ, তাকে পুলিশ আটক করে এবং মোটা অংকের টাকা দাবি করেন। রাসেল বলেন থানায় প্রথমে ৩৫ হাজার টাকা দিলেও বাসন থানা পুলিশ পরে আরো ৫০ হাজার টাকা দিলে ৫ লাখ টাকা না দিলে রবিউল কে ছারা যাবে না, পরে আমরা পরিবারে সব সদস্য এক হয়ে ৩ লাখ মেনেজ করি, কিন্তুু রাত ১২ ঘটিকায় এএসআই মাহাবুব বাসায় এসে রবিউল কে ছেরে দেওয়া হবে বলে আমার চাচীকে ডেকে নিয়ে গিয়ে পুলিশের মাইক্রোবাসে বসিয়ে সাদা কাগজে সই নিয়ে বলেন আপনি বাসায় চলে যান রবিউল কে একটু পরে ছেরে দেওয়া হবে, পরে রাত ২ ঘটিকায় পুলিশ ফোন করে জানায় যে রবিউল গাড়ি এক্সিডেন্ট করেছেন, এবং কিছুক্ষন পরে গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসাপাতাল থেকে ফোন করে বলেন রবিউল মারা গেছে, শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজে গিয়ে লাশ পাওয়া যায়নি পরে যানান ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসাপাতালে লাশ, আমার চাচার লাশ আনার জন্য আমাদের বাড়ির জমির মালিক মোবারক সহ কয়েকজন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসাপাতালে গিয়েছেন বলে আমাদের জানান, এদিকে রবিউল বড় বোন জানান যে টাকার জন্য আমার ভাই কে মেরে ফেলেছে বাসন থানা পুলিশ, বিক্ষুব্ধ জনতার দাবি এএসআই মাহবুব কে ফাঁসি দেওয়া হোক। মৃত রবিউলের পিতা মোঃ বাকি মন্ডল, গ্রাম শাহাদাত পুর, থানা পীরগঞ্জ জেলা রংপুর।